শিক্ষা

Breaking News: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে প্রাথমিকে ১১,৭৬৫ জন চাকরি পেতে চলেছে

প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগে ১১,৭৬৫ জনের তালিকা প্রস্তুত রাজ্য শিক্ষক পর্ষদে। প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ উঠে এসেছে।

অবশেষে প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ উঠে এসেছে, যা রাজ্যে শিক্ষা মাধ্যমে একটি মহান পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্তের স্থির হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে আর কোন বাঁধা রইল না। 

প্রাথমিকে নিয়োগ

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা রয়েছে বহুদিন ধরে। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগে ১১,৭৬৫ জনের তালিকা প্রস্তুত রাজ্য শিক্ষক পর্ষদে। নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ সহ একাধিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, একের পর এক মামলা সংক্রান্ত কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকার আদালতের দিকে তাকিয়ে ছিল। 

অবশেষে, আজকের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে রাজ্য সরকারসহ কাঙ্খিত চাকরি প্রার্থীরা। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, D.EL.ED এ প্রশিক্ষণ চলছে এমন প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। যার ফলে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় মহামান্য আদালত। এমতবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৩ সালের এপ্রিলে পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (NCTE)-এর নিয়ম অনুয়াযী, শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষা এবং D.EL.ED প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এই যুক্তি তুলে ধরে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক কেশ লড়াই করে অবশেষে ২০২১ এর প্রার্থীরা জয়ী হলেন। এবার রাজ্যের প্যানেল প্রকাশেও বাধা থাকল না। স্থগিতাদেশ তুলে নেন মহামান্য বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ। পূর্বে এই মামলা সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাকেই মান্যতা দেয় মহামান্য আদালত।

ইতিপূর্বে, সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল যে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় B.ED প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নিয়োগের জন্য D.EL.ED প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। 

যাইহোক দীর্ঘ জটিলতার পর এবং অপেক্ষার পর অবশেষে TET প্রার্থীদের ভাগ্য পরিবর্তন হতে চলেছে। যেহেতু স্থগিতার আদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে তাই খুব শীঘ্রই প্যানেল প্রকাশের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *